শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

আগামী ভোটে জোটের পরিধি বাড়াবে আ.লীগ

আগামী ভোটে জোটের পরিধি বাড়াবে আ.লীগ

স্বদেশ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়াবে আওয়ামী লীগ। এজন্য মানুষের কাছে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন সব ছোট দলকেও স্বাগত জানানো হবে। গত শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

গণভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ফলে দলীয় প্রার্থীদের নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিয়ে বিজয়ী হতে হবে। দল কাউকে বিজয়ী করে আনবে না। তিনি জানান, সব ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার হবে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা করতে আওয়ামী লীগ ১০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত দলের সভাপতিম-লীর এক সদস্য আমাদের সময়কে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে সভা চলে। এতে সারাদেশে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। চলতি বছর দলের

জাতীয় সম্মেলন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রস্তুতির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আরেকটি বৈঠক করে এই সংক্রান্ত কমিটি করে দেওয়া হবে। তারাই গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করবেন।

সভাসূত্র জানায়, দলের এক সভাপতিম-লীর সদস্য বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে উৎসাহিত করার কথা বলেন। এ সময় এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদের নির্বাচনে আনার কী আছে? আমরা তাদের নির্বাচনে আনতে যাব কেন? দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসুক। আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক।

জানতে চাইলে দলের আরেক সম্পাদকম-লীর সদস্য আমাদের সময়কে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবাইকে নির্বাচনমুখী হতে বলেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ১০০ প্রার্থী চূড়ান্ত করা আছে। দলের প্রতি আন্তরিকতা ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার বিবেচনায় ধীরে ধীরে বাকি প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। যারা দল থেকে মনোনয়ন পাবেন তাদের নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে বলে নেত্রী বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, দল কারও দায়িত্ব নিয়ে বিজয়ী করে আনবে না। এটি মাথায় রেখে দলের প্রতি অনুগত থেকে মানুষের জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। দলের আরেক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ইভিএমের মাধ্যমে হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলেও দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সভাসূত্র জানায়, সভায় একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে সতর্ক করা হয়। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কথা বলতে গেলে থামিয়ে দেওয়া হয়। সাংগঠনিক ইস্যুতে ৫ জন সভাপতিম-লীর সদস্য ও এক কেন্দ্রীয় সদস্য কথা বলেন। দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক বিদেশে থাকায় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। ৮ বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা স্ব স্ব বিভাগের রিপোর্ট পেশ করেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় সভাটি বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় চলে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877